পেট ব্যথার কারণ ও লক্ষণ সমূহ
পেট
পেট ব্যাথার কারণ ও লক্ষণ সমূহ বলতে আমাদের অনেক সময় পেট ব্যাথা হয়ে থাকে।আমারা অনেকে জানিনা আমাদের কিসের জন্য পেট ব্যাথা হয়ে থাকে।পেট বাথার কারন কি?এগুলো আমাদের প্রশ্ন হয়ে থাকে,কিন্তু আমরা সেটা অনেকে জানিনা।
অনেকে ভাবে শুধু ভাজা পরা বেশি খেলেই পেট ব্যাথা করে।এই রকম অনেক কারন আছে পেট বাথার।তাই আমরা আজকে জানবো পেট ব্যথার কারন কি?কিসের জন্য পেট ব্যাথা হয়ে থাকে।চলুন জানা যাক।
পেজ সুচিপত্রঃপেট ব্যথার কারণ ও লক্ষণ সমূহ
- পেট বাথার ধরন এবং এর কারনসমূহ
- পেটে কিডনির পাথর হলে পেটে ব্যথা হতে পারে
- পেট ব্যথার অন্যান্যকরণ
- পেট ব্যথার লক্ষণ
- পেট বাথার প্রতিরোধ এবং ঘরোয়া চিকিৎসা
- পেট ব্যথার জন্য কখন চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন
- লেখক এর পরামর্শ
পেট বাথার ধরন এবং এর কারনসমূহ
পেট ব্যাথা সাধারণত কয়েকটি ধরনের হয়ে থাকে এবং প্রতিটি ধরনের
ব্যাথার আলাদা কারণ থাকতে পারে নিচে প্রধান কিছু ধরনের পেট ব্যাথা কারণ নিয়ে
আলোচনা করা হলো
গ্যাস বা ফাঁপা পিটের গ্যাসের সমস্যার কারণে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের পেট ব্যাথা দেখা যেতে পারে গ্যাস জমে গেলে পেটে চাপ সৃষ্টি হয় যা অস্তুতি এবং ব্যথার কারণ হতে পারে বিশেষত্ব তৈলাক্ত বা মশলাযুক্ত খাবার খেলে গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যায় অনেক সময় দ্রুত খাওয়া অতিরিক্ত বাতাস গেলা বা কম চলাফেরা করলেও গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
পাকস্থলীতে আলসার হলে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হতে পারে এই আলসার গুলো সাধারণত পাকস্থলী প্রাচীর তৈরি হয় যা পাকস্থলীর এসিডের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেক সময় নির্দিষ্ট ওষুধ বা দীর্ঘদিনের এসিডিটির বা আলসার কারণ হতে পারে।
আরো পরুনঃপেট ব্যথার ৮ টি ওষুধের নাম
পিত্তথলিতে পাথর জমা হলে পেটে তীব্র ব্যাথা হতে পারে বিশেষত্ব পেটের উপরে ডান দিকে এই ব্যথা সাধারণত কয়েক ঘন্টা স্থায়ী এবং খাওয়ার পরে বেশি হয় পিত্তথলির পাথর সাধারণত বৃত্তের সঙ্গে বিলিরুবিন এবং কোলেস্টেরল জমে তৈরি হয়।
পেটে কিডনির পাথর হলে পেটে ব্যথা হতে পারে
পেটে কিডনির পাথর হলে পেটে তীব্র ব্যাথা হতে পারে যা পিঠের নিচ থেকে শুরু করে সামনের
দিকে চলে এসে এ ব্যথা কখনো কখনো অসহনীয় হতে পারে এবং পাথর প্রস্রাবের মাধ্যমে
বের না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকে এছাড়া বমি বমি ভাব প্রসাবে জ্বালাপোড়া বা
রক্ত আসা এই সমস্যা অন্যান্য লক্ষণ।
গ্যাস্ট্রো ইন টেস্টিয়ানাল ইনফেকশন এগুলো ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবীর কারণে
পাকস্থলী সংক্রমণ হলে পেটে ব্যাথা হতে পারে বিশেষত খাদ্য বিক্রিয়া বা দূষিত পানি
খেলে এ ধরনের সংক্রমণ দেখা দেয় এর সঙ্গে বমি ডায়রিয়া এবং জ্বর থাকতে পারে।
অ্যাপেন্ডিসাইটিস হলে তীব্র পেট ব্যাথা দেখাতে পারে যা পেটের ডান পাশে
বেশি অনুভূত হয়। এ সমস্যা হলে অস্ত্রোপচার করা প্রয়োজন। অ্যাপেন্ডিসাইটিস
এর কারণে পেটে প্রচন্ড ব্যথা জ্বর এবং বমি হতে পারে যা অনেক কষ্টকর এবং
যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে।
পেট ব্যথার অন্যান্যকরণ
পেট ব্যথার অন্যান্যকরণ হলো পিরিয়ড বাড়িতে সাপের ব্যাথা মহিলাদের ঋতুস্রাবের সময় পেটে বা তলপেটের ব্যথা হয়ে থাকে যা সাধারণত প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার অংশ। তবে কখনো কখনো এই ব্যাথা খুব তীব্র হতে পারে যার চিকিৎসকের প্রয়োজন।
ইরিটেবল বাউল সিনড্রোম হলো এক ধরনের দীর্ঘমেয়াদি অন্তরের সমস্যা যার ফলে পেটে ব্যাথা ফোলা ভাব ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে মানসিক চাপ বা খাদ্য ভ্যাসের কারণে এই সমস্যা বাড়তে পারে।
আরো পরুনঃ পেট বাথার ৮ টি ওষুধের নাম
হার্নিয়া হলো যখন অন্তরের কোন অংশ শরীরে দুর্বল স্থানের মধ্য দিয়ে বাইরে
বেরিয়ে আসে এটি তীব্র পেট ব্যাথার কারণ হতে পারে এবং ক চিকিৎসা না করলে এই
সমস্যা গুরুতর হতে পারে। তাই আমাদের হার্নিয়া এমন রোগ হলে খুব তাড়াতাড়ি
চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
পেট ব্যথার লক্ষণ
পেট ব্যথার লক্ষণ এবং কারণ নির্ণয়ের জন্য এর সঙ্গে থাকা অন্যান্য লক্ষণগুলো জানা
আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরী তাই চলুন অন্যান্য জিনিস গুলো জানা যাক।
পেট ব্যাথা হলে আমাদের বমি বা বমি ভাব হতে পারে।অনেক সময় ওজন কমে যাওয়ার
মতো লাগবে। পেট বাথা হলে প্রসাবের বা পায়খানা রক্ত দেখা দিতে পারে।পেট বাথা হলে
ফোলা ভাবা,গ্যাসের চাপ, পিঠের ব্যথা এগুলো দেখা দিতে পারে।এই লক্ষন গুল দেখা মানে
আমাদের বুঝতে হবে গুরুতর অসুস্থতার কারন হতে পারে,তায় আমাদের চিকিৎসকের পরামর্ষ
নেওয়া খুবই জরুরি।
মানসিক চাপ এবং উদ্যোগ শরীরে অন্যান্য অংশের মতো পেটের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে
পারে যখন আমরা চাপ গ্রস্থ বা অধিগ্ন হয় তখন আমাদের শরীর এদ্রনা
নিন এবং করটিসল নামক হরমোন নিঃসরণ করে যা পিটের পিসি গুলোকে সংকুচিত করে এবং
হজম প্রক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটায় ফলে পেটে ব্যথা ফোলা ভাব এবং হজমজনিত সমস্যা হতে
পারে।
পেট বাথার প্রতিরোধ এবং ঘরোয়া চিকিৎসা
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পেট ব্যথা স্বল্পমেয়াদি এবং ঘরোয়া উপায়ে নির্ময় করা সম্ভব পুষ্টিকর খাদ্যভ্যেস স্বাস্থ্যকর খাদ্য ভেষে বজায় রাখা পেটের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করতে সহায়ক যেমন বেশি পরিমাণে ফল ফুল এবং শাকসবজি খাওয়া আর যুক্ত খাবার গ্রহণ করা পর্যাপ্ত পানি পান করা চর্বিযুক্ত এবং ঝাল যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা নিয়মিত খাবার গ্রহণ করা এবং দ্রুত খাবার না খাওয়া। এগুলো মেনে চললে পেট ব্যথা প্রাকৃতিক উপায় ভালো হয়ে যায় যেমনঃ
নিয়মিত ব্যায়াম বাঁশরী চর্চা পেটের হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়তা করে বিশেষ করে হাটাহাটি এবং হালকা ব্যায়াম পেটের গ্যাস কমাতে এবং পেটের সমস্যা প্রতিরোধ করে সে টস কমানো বা মানসিক চাপ টে ব্যথার একটি বড় কারণ হতে পারে নিয়মিত যোগব্যায়াম ধ্যান শ্বাস এর ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে যা পেটে সমস্যা প্রতিরোধ করে।
ওষুধ এবং ঘরোয়া প্রতিকার হলো গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি কমাতে এন্টাসির ওষুধ
নেওয়া যেতে পারে এছাড়া গরম পানির বোতল দিয়ে পেটে সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায়।
আদা চা বাগ পুদিনা পাতার চা গ্যাস্টিক বা বদহজমের সমস্যায় আরাম দেয়।
পেট ব্যথার জন্য কখন চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন
আমাদের অনেকেরই আছে অনেকদিন ধরে পেট ব্যথা হয়ে থাকে তারা বুঝতে পারে না কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত তাই যদি পেট ব্যথা কয়েকদিন ধরে স্থায়ী হয় এবং এর সঙ্গে গুরুত্ব লক্ষণ দেখা দেয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি বিশেষত্ব পরিস্থিতিতে দ্রুত চিকিৎসা নেয়া উচিত।
যেমন তীব্র পেট ব্যথা ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলছে এবং ব্যথার সঙ্গে বমি বা জ্বর হচ্ছে। এমন অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরীপেট ব্যথা অতিরিক্ত হওয়ার কারণে পায়খানায় বা প্রসাবে রক্ত আসা এবং তলপেটে ব্যথা এবং বমি বা জ্বর এবং ওজন কমে যাওয়া এমন হলে শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরী।
পেট ব্যথা গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে যেমন অ্যাপেন্ডিসাইটিস গলব্লাডার পাথর কিডনি পাথর অথবা ইনফেকশন তাই এরকম গুলো দেখা দিলে বিলম্ব না করে খুব দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া উচিত।অনেকে আছে তারা এই রোগের লক্ষন গুল বুঝতে পারে না।তায় তারা এইগুলকে প্রাধান্য দেয়ন।তায় তাদের উচিৎ খুব দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া।
ইমতিয়াজ ২৪ ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।;
comment url