রাতে ঘুম আসে না কেন,কারন কি এবং তার প্রতিরোধ ২০২৪
পেট ব্যাথার কারণ এবং তার প্রতিরোধরাতে ঘুম না আসা যা ইন সোমনিয়া বা অনিদ্রা নামে পরিচিত।শারীরিক কারণে হতে পারে,এটি কোন একক কারণে নয় বরং ব্যক্তির জীবনধারা মানসিক অবস্থা শারীরিক সমস্যা বা পরিবেশগত কারণে ঘটে
থাকে।তাই আমরা আজকের কন্টেন্টে আপনাদের জানাতে চলেছি রাতে ঘুম না আসার কারণ এবং তা প্রতিরোধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলচনা করবো।
পেজ সুচিপত্রঃরাতে ঘুম না আসার কারন এবং তার প্রতিরোধ সম্পর্কে
- রাতে ঘুম না আসার ৭টি কারনঃ
- রুটিন অনুযায়ী না ঘুমালে ঘুম আশে না
- মানসিক চাপে থাকলে ঘুম আশে না
- তামাক সেবন করলে রাতে ঘুম আশে না
- ঘুম না আসলে করনীয় কিঃ
- ইনসমনিয়া কি?এর থেকে বাচার উপায়ঃ
- দ্রুত ঘুমানর ৫ টি টিপস
- ঘুমানর সঠিক সময়
- রাতে ঘুম না আসলে ৩টি মারাত্মক ব্যাধি
- লেখকের শেষ
রাতে ঘুম না আসার ৭টি কারনঃ
শারীরিক সমস্যাগুলি আমাদের মাঝে অনেক হয়ে থাকে। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা যেমন পিঠ বা ঘাড়ের ব্যথা অ্যাসিড রিফ্লাক্স শ্বাসকষ্ট আজমা আর্থাইটিসের মত রোগের কারণে ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেসব মানুষ রাতে শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন বা ঘুমের মধ্যে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।তাদের ক্ষেত্রে ঘুমের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এ সমস্যা গুলি ঘুমের প্রয়োজনীয়তা থাকা সত্ত্বেও দেহকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে বাধা দেয়।
হরমোনগত পরিবর্তন নারীদের ক্ষেত্রে মানসিক চক্র গর্ব অবস্থায় এবং মেনোপদের সময় হরমোনের তারতম্যের কারণে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। প্রোজেস্টেরন এবং এসট্রোজেন এর মাত্রা পরিবর্তনের ফলে শরীরে গরম অনুভব করা উদ্যোগ এবং মেজাজের পরিবর্তন হতে পারে যা ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করে।
ইলেকট্রনিক ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহার করলে ঘুমের ব্যঘাত দিতে পারে। আজকের প্রযুক্তি নির্ভর সমাজ মোবাইল ফোন কম্পিউটার টিভি এবং ট্যাবলেটের অতিরিক্ত ব্যবহার ঘুমের চক্রকে বিঘ্নিত করছে । ইলেকট্রনিক ডিভাইস গুলো থেকে নির্গত নীল আলো মেলোটোনিল হরমোনের উৎপাদন বাধা দেয়।সেই হরমোন যা আমাদের ঘুমের সংকেত দেই।এই নীল আলো আমাদের মস্তিষ্কে জাগ্রত করে রাখে যা ঘুমের সময় সংকোচন করে এবং ঘুমের মান কমিয়ে দেয়।
রুটিন অনুযায়ী না ঘুমালে ঘুম আশে না
ঘুমের নিয়মিত অভ্যাস বলতে অনেকের ঘুমানোর অভ্যাসে অনিয়মিত থাকে।নিয়মিত সময় না ঘুমিয়ে মাঝে মাঝে খুব বেশি রাত জাগা বা দিনভর ঘুমিয়ে থাকা এ ধরনের অভ্যাস ঘুমের রুটিনে প্রভাব ফেলে। আমাদের দেহের নিজস্ব এক অভন্তরনীয় ঘড়ি থাকে যা সরকার্ডিয়ান রিদম নামে পরিচিত।
এই ঘড়ি নিয়মিত ঘুমানোর এবং জাগ্রত থাকার চক্র কে নিয়ন্ত্রণ করে।অনিয়মিত ঘুমের অভ্যাস এই প্রাকৃতিক ঘড়িটিকে বিভ্রান্ত করে এবং ঘুম আসতে বাধা দেয়। রাতের ঘুম আমাদের আসর ঘুম। এখন সারাদিন যদি ঘুমিয়ে পড়ে থাকে তাহলে রাতে ঘুম আসবে না। কারণ সে রাতের ঘুম দিনে পেড়ে নিয়েছে।
তাই আমাদের ঘুমানোর জন্য নির্দিষ্ট একটা টাইম থাকতে হবে। নির্দিষ্ট একটা টাইম থাকলে এটা শরীরের জন্য অনেক উপকার।রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম গেলে ঘুমটা পরিপূর্ণ হয়।আর সময় মতো না ঘুমালে আপনার মানসিক শান্তি পাবেন না।সারাটা দিন শুধু ঘুম পাবে।তায় সময় মতো ঘুম যাওয়া উচিৎ।
মানসিক চাপে থাকলে ঘুম আশে না
মানসিক চাপ ও উদ্যোগে আজকের ব্যস্ত জীবনধারা।বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে মানসিক চাপ বা স্টক একটি প্রাথমিক কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।যখন মন অত্যাধিক চাপ বা চিন্তায় ডুবে থাকে,তখন এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রাখতে বাধা দেয়।ফলে শরীর এবং মনসম্পন্ন ভালো শিথিল হতে পারে না।
যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।উদ্বেগ বা আংজাইটি এমন একটি মানসিক অবস্থা যা মানুষকে ঘুমের সময় দুশ্চিন্তা এবং নানা নেতিবাচক চিন্তা করতে বাধ্য করে।তায় ঘুমানোর সময় কন রকম চিন্তা করা যাবে না।আমাদের ভালো ঘুম যেতে দেয়না মানসিক চাপের কারনে।
মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা মানুষকে ঘুমাতে দেয়না।অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা মানুসের ইন্দ্রিয় কে নষ্ট করে দেয়।যার ফলে মেজাজ সব সময় গরম খিটখিটা হয়ে থাকে।আর মেজাজ গরম থাকলে কন কাজে মন বসে না।জর করে কন কাজ করলে সে কাজে সফল হতে পারে না।তায় দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ ঘুম না হওয়ার বড় একটি কারন।
তামাক সেবন করলে রাতে ঘুম আশে না
আমরা অনেকে জানি অ্যালকোহল বা নিকোটিন আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। নিকোটিনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ তামাক। তামাক সেবনে মরণব্যাধি রোগ ক্যান্সার হতে পারে। ইসলামে তামাক জাতীয় দ্রব্য কে পুরোপুরিভাবে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তামাক সে বনে রাতে ঘুম হয় না।তামাক একটি উত্তেজিত দ্রব্য।উত্তেজিত অবস্তায় রাতে ঘুম গেলে ঘুম আস্তে বাঁধা দেয় এই তামাক দ্রব্য।
আরো পরুনঃ পেট ব্যাথার কারন এবং তার প্রতিরোধ সম্পর্কে
কাফের নিকোটিন ও অ্যালকোহল এর মত উত্তেজক পদার্থগুলো শরীরের সক্রিয় রাখে।কাফেইন মুলতা চা কফি চকলেট এবং কিছু নরম পানীয় পাওয়া যায়।যা মস্তিষ্কে উত্তেজিত করে এবং ঘুম আসতে বাধা দেয়।নিকোটিন একটি শক্তিশালী উত্তেজিত যা সিগারেট তামাকজাদ দ্রব্যের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
অনেক গবেষণায় পরিক্ষিত অতিরিক্ত ধূমপান বা তামাক সেবন করলে মানুষের ফুসফুস ও মস্তিষ্ক থাকা জিনের এক্সপ্রেশনের সমস্যা বা পরিবর্তন হয়ে জেতে পারে।অনেকে মনে করেন যে আলকোহল ঘুমাতে সাহায্য করে কিন্তু অ্যালকোহল আসলে গভীর ঘুমে বাধা দেয় এবং ঘুমের গুণমান হ্রাস পায়।তায় তামাক সেবন মানুষের ঘুম কেরে নেয়।
ঘুম না আসলে করনীয় কিঃ
-
নিয়মিত ঘুমের সময়সূচি তৈরি করা।আমাদের ঘুমের সময়সূচি স্থাপন করা অত্যন্ত
জরুরী একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং একই সময় ঘুম থেকে ওঠা অভ্যাস করলে শরীরে
একটি প্রাকৃতিক ছন্দে চলে আসে এটি সারকার্ডিয়ান রিদম বা দৈনিক জীব-জৈবনিক
ঘড়িকে সমর্থন করে ঘুমের নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলা ঘুমের মা্ন বৃদ্ধিতে
সাহায্য করে এবং ঘুম না আসার সমস্যা অনেক অংশে কমাতে পারে।
- ঘুমের আগে বিশ্রাম মূলক পরিবেশ তৈরি করা আমাদের প্রয়োজন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে আমাদের বিশ্রাম মুলক পরিবেশ থাকলে ঘুমের মান উন্নত করতে সহায়তা করে। ঘরের তাপমাত্রা আলো এবং শব্দের পরিমাণে উপর বিশেষভাবে নজর দিতে হবে ঘুমানোর জন্য অন্ধকার নিরিবিলি এবং ঠান্ডা একটি পরিবেশ ঘুমাতে সহায়তা করে।
- যদি সম্ভব হয় আপনার ঘুমের ঘরে খুব বেশি প্রযুক্তিপণ্য না রাখার চেষ্টা করুন কারণ টিভি বা মোবাইল ফোনের আলো ফোনের আলো উৎপাদনকে ভাড়া দিতে পারে বা ঘুম আনার জন্য অপরিহার্য। তাই ঘুমানোর সময় আমাদের ইলেকট্রনিক পণ্য থেকে বিরত থাকা উচিত।
- প্রযুক্তি ব্যবহার কমানো অনেক সময় ঘুমের আগে দীর্ঘক্ষণ প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে ঘুম আস্তে সমস্যা হতে পারে। মোবাইল ফোন ট্যাবলেট বা কম্পিউটার থেকে নীল আলো নির্গত হয় যা মস্তিষ্কে দিনের আলোর অনুভূতি সৃষ্টি করে এবং ঘুমের সময় মেলাটোনিন হরমোনের উৎপাদন করতে বাধা দেয় ঘুমানোর এক থেকে দুই ঘন্টা আগে এসব ডিভাইস ব্যবহার করার থেকে বিরত থাকা উচিত। তাহলে ঘুমের মান ভালো হবে।
- শারীরিক ব্যায়াম নিয়মিত করলে ঘুমের গুণগত মান উন্নত করে বেয়াম শরীরে ক্লান্তি তৈরি করে এবং মানসিক চাপ দূর করে যা রাতে ঘুমের জন্য সহায়ক হতে পারে। তবে সবার আগ মুহূর্ত ভারি শারীরিক ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ এটি উলটে ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- আমরা অনেকে খাবার খেয়ে থাকে অনেক দেরি করে নির্দিষ্ট সময় থাকে না। আমাদের নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়া প্রয়োজন কারণ খাবারের উপরেও ঘুমের প্রভাব রয়েছে। ঘুমানোর আগে ভারী খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত কারণ একটি হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে এবং ঘুম ব্যাহত করতে পারে রাতে হালকা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া যেমন দুধ বাদাম ওটমিল খাওয়া যেতে পারে যা ঘুমের জন্য উপকারী।
- আরামদায়ক পোশাক পরা কারণ ঘুমানোর সময় আরাম দায়ক পোশাক পড়লে ঘুমের পরিমাণ বেড়ে যায়। খুব বেশি টাইট পোশাক পরলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে আরামদায়ক এবং বাতাস চলাচল করতে পারে এমন পোশাক পরা উচিত যা ঘুমের সময় শরীরকে প্রশান্তি দেয়।
ইনসমনিয়া কি?এর থেকে বাচার উপায়ঃ
- ঘুম না আসা কে আবার ইনসমনিয়া বলে।এটি অনেক খারাপ এক রোগ।এর থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে।অনেকেই আছে এই ইসমনিয়া ভুগছেন।তায় ইনসমনিয়ার কারনে ঘুম আশে না।এর থেকে বাচার উপায় নিচে দেওয়া হলোঃ
- আমরা অনেকে গভির রাত ধরে ফোন ব্যাবহার করে থাকি।তায় ঘুমানর সময় আমাদের ঘুম আশে না। মোবাইল ফোন বালা ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় সীমাবদ্ধ করতে হবে কারণ এটি মেলা টোনিনের হরমোন উৎপাদনকে বাড়িয়ে ঘুমকে সহজ করে।
- ঘুমানোর আগে আমাদের যৌগ ব্যায়াম শ্বাস-প্রশ্বাসের নিয়মিত ব্যায়াম করলে মানসিক চাপ কমে।সে জন্য মাথার মস্তিস্ক ঠাণ্ডা এবং সিথিল রাখতে সাহায্য করে।আর মাথা ঠাণ্ডা থাকলে ঘুম আসতে সাহায্য করে।
- মেডিটেশন ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন।যারা মানসিক চাপ উদ্বেগ বা বিষন্নতায় ভুগছেন তাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মেডিটেশন কাউন্সেলিং বা থেরাপি গ্রহণ করা যেতে পারে এটা করলে ঘুম আসতে পারে।
- মেডিকেল সহায়তা নেওয়া অনেক গুরুতপূর্ণ। ঘুম না আসলে মেডিকেল সহায়তা নেওয়া উচিত যদি সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং ঘুমের সময় দীর্ঘস্থায়ী হয়।তবে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন ইন সোমনিয়া চিকিৎসায় নানা ধরনের ওষুধ স্লিপ থেরাপি ব্যবহার করা যেতে পারে। সে থেরাপি মেনে চললে ঘুম আসতে পারে।
রাতে ঘুম না আসলে ৩টি মারাত্মক ব্যাধি
দ্রুত ঘুমানর ৫ টি টিপস
দ্রুত ঘুমানোর জন্য আমাদের কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। এই নিয়মগুলো মেনে চললে
আপনার খুব দ্রুত ঘুম পাবে। আপনি এই টিপসগুলো মেনে চলুন তাহলে দ্রুত
ঘুমিয়ে পড়তে পারবেন এবং একটি ভালো ঘুম উপভোগ করতে পারবেন।
(১) একটি নির্দিষ্ট ঘুমানোর রুটিন তৈরি করতে হবে
দ্রুত ঘুমানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট ঘুমানো রুটিন তৈরি করতে হবে। প্রতিদিন একই
সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং একই সময়ে ঘুম থেকে উঠা একটা নিয়মিত অভ্যাস তৈরি
করতে হবে। এগুলো মেনে চললে সঠিকভাবে দ্রুত ঘুমাতে পারবেন।
(২) হালকা পরিমান খাবার খাওয়া
হালকা পরিমান খাবার খেয়ে ঘুমাতে হবে। ভারী খাবার খেলে শরীরে হজম প্রক্রিয়া ধীরগতি হয়ে যেতে পারে যার ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। তাই ঘুমানোর আগে হালকা পরিমাণ খাবার খেতে হবে এতে আপনার হজম প্রক্রিয়া ঠিক থাকবে এবং আপনি সুন্দরভাবে একটি ভালো ঘুম দিতে পারবেন।
(৩) মেলাটোনিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া
মেলাটোনিন সাপ্লিমেন্ট আমাদেরকে প্রয়োজন অনুযায়ী খেতে হবে। যদি প্রকৃতিকভাবে
ঘুম আসতে অসুবিধা হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মেলাটোনিন সাপ্লিমেন্ট
গ্রহণ করতে হবে এটি শরীরের ঘুমের সাইকেলকে সমর্থন করে। তাই ঘুম না
আসলে মেলা টোনিন সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন।
(৪) মানসিক চাপ কমানো
আমরা দৈনন্দিন জীবনে অনেক মানসিক চাপের ভিতরে থাকি। মানসিক চাপ থাকলে
যেকোনো মানুষ এই ঘুমাতে পারে না। তাই অতিরিক্ত চিন্তা বা মানসিক চাপ ঘুমের
ব্যাঘাত ঘটায়।তাই দিনের চাপগুলোকে মন থেকে দূরে করে ফেলতে হবে এবং ঘুমানোর আগে
পজিটিভ চিন্তায় মননিবেশ করতে হবে। তাহলে আমাদের দ্রুত ঘুম পাবে।
(৫) ঘুমের আগে বই পড়া
ঘুমের আগে বই পড়া অভ্যাস করুন। কারণ বই পড়লে যে কোন মানুষের ঘুম পায়।
তাই ঘুমানোর আগে মনকে শান্ত করার জন্য একটি হালকা বই পড়তে পারেন সেটা যে কোন
বিষয়ে। একটি মানসিক চাপ কমায় এবং মনকে ধীরে ধীরে ঘুমের জন্য প্রস্তুত
করে।
এই টিপসগুলো অনুসরণ করলে আপনি দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে পারবেন এবং ভালো ঘুমের
অভ্যাস তৈরি করতে সক্ষম হবেন।
ঘুমানর সঠিক সময়
- নবজাতক (০-৩ মাস)১৪-১৭ ঘণ্টা
- শিশুঃ (৪-১১ মাস) ১২-১৫ ঘণ্টা
- শিশুঃ(১-২ বছর) ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা
- প্রি স্কুলারঃ(৩-৫ বছর) ১০-১৩ ঘণ্টা
- স্কুল বয়সীঃ (৬-১৩ বছর) ৯ থেকে ১১ ঘণ্টা
- কিশোরীঃ (১৪ -১৭ বছর) ৮-১০ ঘণ্টা
- প্রাপ্তবয়স্কঃ (১৮-৬৪ বছর) ৭-৯ ঘণ্টা
- বয়স্কঃ (৬৫ বছর বা তার বেশি যাদের) ৭-৮ ঘণ্টা
ইমতিয়াজ ২৪ ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।;
comment url